07 Jun, 2025

ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কে ইসলাম যা বলে।

আমি কিন্তু কখনোই নিজেকে মনে মনে মেয়ে মনে করি না, বরঞ্চ বাবুর আম্মুকে জিজ্ঞেস করি আচ্ছা তুমি যে মেয়ে এর জন্য কি তোমার আফসোস হয়….? আচ্ছা তোমার কি এমন মনে হয় না যে ইশ্ যদি ছেলে হতাম কতোই না ভালো হতো? জবাব আসে আল্হামদুলিল্লাহ আমি খুশি। মহান রব পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি। (সূরা : ত্বীন, আয়াত : ৪) তারপরও আমরা নিজেদের কাস্টমাইজ করতে চাই। আমরা অনেকেই নিজেদের আরো বেশি সুন্দর করার জন্য এতোটাই মরিয়া হই যেন মহান রব আমাদের ভালোবেসে সৃষ্টি করেন নাই। আমার পরিচিত একজন আপু আছেন তিনি ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে থাকেন এবং যথেষ্ট পরহেজগার, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে উনার কণ্যা সার্জারি করে নিজেকে ছেলেতে রুপান্তরিত করতে চায়, ব্রেস্ট সার্জারি করে অপসারণ করতে চায়, ছেলেদের মতো হেয়ার কাট দেয় এবং চালচলন ছেলেদের মতোই করে। এই বিষয়ে আপুটা অত্যন্ত মর্মাহত এবং ব্যথিত। তিনি Whatsapp এ মনের দুঃখ শেয়ার করেন আমার সাথে যদিও এই রকম বিষয়ে আমি কোন কাজ করি না, আমি উনাকে সান্ত্বনা দেই যে আপু বেশি বেশি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে মহান রবের কাছে আপনার দুঃখগুলো পেশ করুন! মায়ের দোয়া আল্লাহ দ্রুত কবুল করেন। আল্লাহ পাক আপনার দোয়া কবুল করলে তার মন ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ট্রান্সজেন্ডারঃ ট্রান্স বলতে আমরা সোজাসাপ্টা যেটা বুঝি সেটা হলো স্থানান্তর, বদল কিংবা পরিবর্তন। জেন্ডার মানে লিঙ্গ, অর্থাৎ লিঙ্গ পরিবর্তন। আচ্ছা বলুন তো একটা মেয়ে যদি সার্জারি করে ছেলের মতো হয়, ধরুন বেশভূষা ছেলের মতোই হলো, সে কি প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে? কিংবা একটা ছেলে যদি মেয়ের মতো বেশভূষা ধরে সে কি গর্ভধারণ করতে পারবে? বিষয়টা এরকম যে কোন কুকুর ছানার গায়ে (লোমে ) যদি বাঘের মতো কালার করা হয় তারপরও যেমন তার কালার ছাড়া আর কোন পরিবর্তন হবে না, অর্থ্যাৎ কুকুর ছানা চীরদিনই কুকুর ছানাই থাকবে, তাকে কেউ কখনোই ব্যাঘ্র শাবক বলবে না। তদ্রুপ একজন ছেলে যদি সার্জারি করে মেয়ের অথবা একজন মেয়ে যদি ছেলের বেশভূষা ধরে এতে সেই কুকুর ছানার মতো কালার ছাড়া আর কিছুই হবে না। আপনি যদি মনে করেন স্রষ্টা আমাদের প্ল্যান পরিকল্পনা করে তৈরী করেননি তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে আছেন। আমরা সকলে জানি কোটি কোটি ভাই-বোনকে পিছনে ফেলে মহান রব মাতৃগর্ভের ওভামে আমাদের জায়গা করে দিয়েছেন এবং ফার্টিলাইজ করে দুনিয়াতে আসার সুযোগ দিয়েছেন বিধায় আমরা এতো ফ্যাশান করতেছি, যেদিন আমাদের জননী গর্ভসঞ্চার করেছেন সেদিন তো আমি না হয়ে অন্য কোন শুক্রানু ফার্টিলাইজ হতে পারতো, কিন্তু না! মহান রব আপনাকে ও আমাকে চয়েজ করেছেন। তাই তো আজ আমরা এই ধরণীতে। আর আজ আপনি আমি স্রষ্টার সৃষ্টিতে অসন্তুষ্ট! কতোটা উন্মাদ হলে মানুষ এমন করতে পারে! আরো কয়েকটি বিষয় আছে যেটা ট্রান্সজেন্ডারে মতোই ভয়াবহ কিন্তু আমরা সেগুলো ততোটা গুরুত্ব দেই না, যেমন ভ্রু প্লাগ! সেটাও কিন্তু মারাত্নক রকমের গুনাহের কাজ যেটা অনেক মুসলিম মা বোনেরা জানেন না। কেউ কেউ সৌন্দর্যবৃদ্ধি ও নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করে। যেমন- নাক, চিবুক, ঠোঁট, চোখের পাতা, কান, স্তন প্রভৃতি অঙ্গের সার্জারি করে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলে অথচ ইসলামে এগুলোকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে উত্তম অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা ত্বিন : ৪)। এরপরও নিজেকে অনাকর্ষণীয় মনে করা এবং আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন সাধিত করা হারাম এবং শয়তানের কর্ম। পবিত্র কুরআন শরীফে এসেছে; ” শয়তান বলল- আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সূরা নিসা : ১১৮-১১৯) হাদিসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহ্‌র অভিশাপ বর্ষিত হোক সে সব নারীদের উপর যারা শরীরে উল্‌কি অঙ্কণ করে এবং যারা অঙ্কণ করায়, (এখানে নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ট্যাটু করার কথা বলা হয়েছে) আর সে সব নারীদের উপর যারা চুল, ভ্রু তুলে ফেলে এবং সে সব নারীদের উপর যারা সৌন্দর্যের জন্যে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করে, দাঁতের মধ্যে ফাঁক তৈরি করে, যা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। রাবী বলেনঃ আমি কেন তার উপর অভিশাপ করব না, যাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন? সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯৩১ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস। আর আল্লাহ্‌র কিতাবে আছেঃ রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও এবং আল্লাহকেই ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর। – সুরা আল-হাশর ৫৯:৭ ———— বিঃদ্র- পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন! চাইলে কপি পেস্ট করতে পারেন তবে অবশ্যই কার্টেসী দিবেন। এই পোষ্টটি কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। ——— মোঃ সারোয়ার হোসেন। Mdsarwarhossen@muminmusolman.com http://www.facebook.com/muminmusolman01

1 min read

পড়াশোনার চাপে মুজাহিদ বিন সারোয়ার!

প্রচুর পড়াশোনার চাপে আছে আমার প্রিয় কনিষ্ঠ পুত্র মুজাহিদ বিন সারোয়ার!

1 min read

Jabir Ibn Sarwar

আমার প্রিয় সন্তান জাবির ইবনে সারোয়ার গত ৪র্থা ডিসেম্বর ২০২৩ ইং রোজ সোমবারে জন্মগ্রহণ করে, তার আগমনে মহান রব্বুল আলামিন আল্লাহ পাকের দরবারে জানাই লাখো কোটি শুকরিয়া!  Jabir Ibn Sarwar D.O.B- December 4, 2023.    

1 min read

সঠিক পথে হাটা

হেটেছি কতো আমি বাল্যকাল হতে, চলেছি বহু পথ বহুজনের সাথে। কখনো একা কিবা কখনোবা দলে, কখনো নিশিরাতে কখনো সকালে। কখনো হেটেছি আমি শিশিরস্নাত ঘাঁসে, কখনো হেটেছি বেশ প্রতিকূল বাতাসে। কখনো পরেছি,পরে উঠেছি আবার, কখনো ছিলোনা মন পিছু হটবার। গ্রামগঞ্জ থেকে হেটে বনবাদাড়ে, হেটেছি একা কতো স্রোতস্বিনী তীরে। হেটেছি কতো বেলা হাটু নদীজলে, দুটো পোয়া মাছের আশায় নদী-খাল-বিলে। চোঁখ রেখে সাদা মেঘে শরতের কালে, হেটেছি নিচে নিচে উড়ু গাংচিলে। হেটেছি কখনো ধরে জননীর হাত, অনেক হাটার পরেও আর পাইনা সে স্বাদ। প্রিয়সী’র সাথে হেটে, অনামিকার ছোঁয়ায়, আঙুল শোভা পেতো আংটিতে আমায়। হেটেছি কখনো ধরে আধবুলির হাত, কচি মুখে বলতো সে কোথা যাই বাপ! কখনো হেটেছি ধরে দৃষ্টিহীন লোকে, রাস্তাতে জ্যাম ছিলো ভীড় বাস ট্রাকে। হেটেছি কখনো ভুলে চেনা পথ তবু, পাইলেও পাই যদি প্রিয় মুখ কভূ। হেটেছি হেটেছি ফের ভুলে রাগ লাজ, তারাতারি মাঠে চল বাদ দে সব কাজ! হেটেছি আবার কতো ভুলে সব গান, সোজাসুজি সেই পথে যেই পথে আযান। এতো হাটি পথ তবু ভুল হয়ে যায়, সঠিক পথে গিয়েও কতো ফিরি পুনরায়। যেই পথে গেছে সবে না চিনেও দিক, যদিওবা না ফেরার তবে পথ ছিলো ঠিক। যেতে চাই সেই পথে নিতে চাই সাথে, যা যাবে সাথে মোর বাকি সব বাদে। যদিওবা কারো কাছে ভয়ানক সে পথ, আমি চাই সেই পথে সাথে থাকুক রব। শুনো সবে সেই পথ কি নাম তার, সাড়ে তিন হাত ভূমি আধারে আধার। সব কিছু হবে বিনাশ নাম-যশ-জোর, আসল আসর সেটা অন্ধকার কবর। নিতে পারো সেজে সে ঘর ফুলে ফুলে বাসর, আবার কুকর্মের ফলে আযাবের ঘর। === সমাপ্ত=== সারোয়ার হোসেন। Md. Sarwar Hossen     রচনাকালঃ ১৩ ই জুলাই ২০১৮ ইং Sahidesarwar@gmail.com

1 min read

Mumin Musolman Qr code.

মুমিন মুসলমান নিয়ে এলো নতুন একটি ফিচার, এখন মুমিন মুসলমান Qr কোড ব্যবহার করে সহজে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে!  Scanne Mumin Musolman Qr code.

1 min read

ভিডিওটি ৭ মাসে প্রায় ১৫ লক্ষ ৬ হাজার মানুষ দেখেছেন।

Views: 15,05,902 / Like: 29 k  Comments: 2.2 K Publish date: Dec 13, 2022. ভিডিওটি ৭ মাসে প্রায় ১৫ লক্ষ ৬ হাজার মানুষ দেখেছেন। Video link- https://youtu.be/IPb35G-oQWg Title: মাদ্রাসার বাচ্চার গায়ে এ কেমন রাগী জ্বিন একবার দেখুন! Channel: মুমিন মুসলমান https://www.youtube.com/muminmusolman1

1 min read

Nostalgic moment with little son.

কার কার ছোটবেলায় বাবার সাথে এরকম অভিজ্ঞতা মনে আছে ?  শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে দেওয়া বাবা কি এখনো দুনিয়াতে আছেন, নাকি হৃদয়ের গভীরে সাদা বেলি ফুল ও হাসণেহেনা সুবাসিত উদ্যানে শীতল ছায়ায় চুপটি করে ঘুমিয়ে 💤 আছেন? 🖋️মোঃ সারোয়ার হোসেন।                 Who remembers such an experience with his father in his childhood? Is the father who cleansed the phlegm/mucus still in the world, or deep in the heart is he quietly sleeping 💤 in the cool shade of the fragrant garden with white belly flowers and smiles? ……  🖊️Md. Sarwar Hossen. https://www.wikialpha.org/wiki/Md._Sarwar_Hossen https://www.facebook.com/muminmusolman01 মুমিন মুসলমান

1 min read

অনাকাঙ্খীত পৃথিবী

     অনাকাঙ্খীত পৃথিবী মোঃ সারোয়ার হোসেন। ••••••••••••••••••••••••••• আমি সুদীর্ঘ ১০ মাস অপেক্ষায় ছিলাম, একটি শান্ত ভোরের আলো দেখবো বলে। আমি অন্ধকার মাতৃগর্ভে হেসেছিলাম, কারো হাসি মুখের কারন হবো বলে। আমি কান পেতে শুনেছিলাম, কারো উহু আহা মমতামাখা যন্ত্রনা, খোকা আর নড়িওনা অমন করে আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে সঁইতে আর পারছিনা। আমি গুটিসুটি হয়ে দুনয়ন বুজে দেখেছিলাম, আমার জননীর আমার প্রতি নিরীক্ষণ, প্রতি নিঃশ্বাসে সাবধানতা আর আমার সাথে গোপন আলাপন। কিরে খোকা তুই কেমন আছিস, লেগেছে কি তোর ক্ষুধা? ভাবি এখনো সেই দিনের কথা যাহা অমৃত যেন সুধা। আমি অনেক প্রতিক্ষার পর একদা দেখলাম সুন্দর এক ধরনী, আমার পাশে বড় জটলা অতি নিকটে আমার জননী। মায়ের কোলেই কাটতেছিলো আমার দিনগুলো বেশ, কে জানতো হয়তো কয়েকদিন বাদেই হবে সব সুখ শেষ? আমি দেখতে চেয়েছিলাম সোনা রোদ মাখা একটি শিশিরভেজা সকাল, আমি দেখতে চেয়েছিলাম ফড়িং উড়াউড়ি একটি পরন্ত বিকাল। আমি অপেক্ষায় ছিলাম জোনাকির লুকোচুরি দেখতে সন্ধ্যেবেলায়, আমি ঘুমিয়ে যাইনি শুনবো বলে ঝিঃঝি পোকার ডাক, পেঁচা ডাকা রাত্রিবেলায়।             হঠাৎ একদিন সুখের বাসায় লাগলো প্রবল ঝড়, মায়ের আচল উড়ে গেলো দুরে সরে ভয়ে বুক দুরুদুরু করে ধড়ফড়। চারিদিকে বোমা-বারুদের গন্ধ আর মেশিনগানের ঠাশঠাশ গর্জন, দ্বিগ্বেদিক মানুষের ছুটাছুটি অন্ধকারে অবুঝ মনে আমি শুনি ভয়াল ক্রন্দন। গলির ধারে ওমা বলে কে যেন পরলো ধপাস, আল্লাহ গো বলে গলা ফাটানো চিৎকারে উঠলো ওপাশ। কতো ঘরে দাউদাউ করে উঠলো লেলিহান সর্বনাশা অনল , কতো বৃদ্ধ-জোয়ান,শিশু-কিশোর করলো হায়েনারা কতল। চলবে….. রচনাকালঃ ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ইং।

1 min read